চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী হামলাও জিম্মি করে টাকা আদায়

Post Image

গত ১৯ জানুয়ারী ২০২৩, ঢাকার মিরপুরের মধ্য পিরেরবাগ এলাকায় বসবাসকারী মোঃ রফিকুল হক মিঞা কে তার নিজ বাসায় গিয়ে কামরুল হাসান ফয়সাল ও সানি নামের দুইজন দূর্বৃত্ত আনুমানিক রাত ০৮:৩০ ঘটিকার দিকে ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী, মাদকাসক্ত ও রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে তার স্থায়ী নিবাস এ যান এবং তার কাছ থেকে ৯টি চেকের পাতা যা ১১,৭৫,০০০/- এর সমমূল্যের এবং জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে চলে যান। এসময়ে শাহীন, আলীম নামের দুইজন দূর্বৃত্ত পিস্তল আনার হুমকিও প্রদান করেন। উল্লেখ্য, কামরুল হাসান ফয়সাল এর আগেও খাদিজা নামের এক মহিলা ও শিহাবুজ্জামান এর কাছ থেকে মিথ্যা কথা বলে টাকা নেন ও তার আত্মীয় সানির সাহায্যে সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে এভাবে এগিয়ে যান। তার নিবাস ৭৬৬, মধ্য মনিপুর, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ ও তার পিতার নাম: মো: মফিজ উল্লাহ যিনি বিদেশ ফেরত। কামরুল হাসান ফয়সাল পরিচয় দেন তিনি বিবিএ পাশ করেছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হতে কিন্তু আদতে তিনি পড়ালেখা করেছেন কেবল এইচ এস সি পর্যন্ত। এইসকল তথ্যপ্রমাণ আমাদের প্রতিনিধির কাছে রয়েছে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আমাদের কাছেও সকল অডিও রেকর্ড ও ফুটেজ রয়েছে। 

পরবর্তীতে মোঃ রফিকুল হক মিঞা মিরপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন যার ইনভেস্টিগেশন অফিসার জনাব এস আই ওসমান। এ ব্যাপারে জনাব রফিক বলেন, "মিরপুরের এই অংশে চাদাবাজি, সন্ত্রাস ইত্যাদি পৃষ্ঠপোশকতায় চলে আসছে। আমি পুলিশের উপর আস্থা রাখি তারা আমার এই নিরাপত্তাহীনতার ব্যাপার তদন্তসাপেক্ষে বিচার করবেন। কিন্ত তাতে ফল না পেলে আরো অগ্রসর হওয়ার মাধ্যমে সমাধানে আসা হবে। "

এছাড়াও জনাব রফিক সাহেব সামরিক বাহিনীর প্রাক্তন সদস্য হওয়ায় শেষ জানামতে ইহা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা, র‍্যাব  ও অন্যান্য জায়গায় এ অভিযোগ রাখলেও তার বিশ্বাস অফিসার ইন চার্জ জনাব ছাব্বির ও ইনভেস্টিগেশন অফিসার জনাব এস আই ওসমান সাহেবের মাধ্যমেই সমাধান হবে বলে বিশ্বাস করেন। 

বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ব্যাপারটি জানার পর নিন্দা জানিয়েছেন। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এছাড়াও নাম না প্রকাশ করার শর্তে আমাদের প্রতিনিধিকে জানানো হয়েছে, "অবৈধ অস্ত্র, ভয়ভীতির মাধ্যমে চাদাবাজি, মাদক নিয়ে পুলিশ আরো জোরালোভাবে মিরপুরে অভিযান চালাবে।" 

স্থানীয় একজন বাসিন্দা ও পরিচিত মুখ হয়েও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা নিয়ে এলাকাবাসী ও ক্ষুব্ধ। 

আমরা তদন্তের নিয়মিত আপডেট আমরা চালিয়ে যাবো। 

-স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, মিরপুর জোন